
খেলা ডেস্ক রিপোর্ট
জাতীয় দলের ব্যাটিং নিয়ে যখন চারদিকে সমালোচনার ঝড়, তখন সামনে এসে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী ও বর্তমান ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিন, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের জনপ্রিয় এই কোচ বলেন, "বাংলাদেশ দল তো আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি না। ভালো না করলে সমালোচনা হবে, আর বোর্ড চাইলে আমাকে সরিয়ে দেবে—এটা স্বাভাবিক। আমি শুধু এটুকুই দেখি, আমি নিজের দায়িত্বের জায়গায় কতটা সৎ থাকতে পারছি।"
গত বছরের নভেম্বরে প্রথম জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন সালাহউদ্দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ না থাকায় সেই দায়িত্বও কাঁধে তুলে নেন তিনি। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন—বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা সিরিজ পর্যন্ত।
তবে সালাহউদ্দিনের কোচিংয়ে ওয়ানডে দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে উন্নতির ছাপ তেমন নেই। চলতি বছর এখন পর্যন্ত পাঁচটি ওয়ানডেতে একবারও ২৫০ রান ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে চার ম্যাচেই অলআউট হয়েছেন শান্ত-লিটনরা, আরেকটিতে হারাতে হয়েছে ৯ উইকেট। যেখানে আধুনিক ক্রিকেটে ৩০০ রানের নিচে স্কোর প্রায় নিরাপদ নয়, সেখানে টাইগারদের ব্যাটিং দুর্দশা সত্যিই দুশ্চিন্তার।
অনেকেই আশা করেছিলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে সফল এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা সালাহউদ্দিন বিদেশি কোচদের চেয়ে বেশি কার্যকর হবেন। ভাষাগত সুবিধা, খেলোয়াড়দের মনস্তত্ত্ব বোঝার ক্ষমতা—সব মিলিয়ে উচ্চ প্রত্যাশার ভারই ছিল তার কাঁধে। কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকমই।
সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে কিছু অভিযোগও উত্থাপন করা হয়—যেমন, খেলোয়াড় নির্বাচনে প্রভাব, পছন্দের ক্রিকেটারদের বেশি সুযোগ দেওয়ার বিষয়গুলো। এসব প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, “আপনারা যদি মনে করেন আমি কাজটা ঠিকভাবে করছি না, তাহলে সরিয়ে দিন। আমি খুশি মনে বিদায় নেব। আমি কখনোই নিজেকে অপরিহার্য মনে করি না।”
ব্যক্তিগতভাবে সালাহউদ্দিন দৃঢ়ভাবেই নিজের অবস্থানে আছেন। তার ভাষায়, “আমি কাজের জায়গায় যতটা পারি চেষ্টা করছি। সৎ থেকে কাজ করে যাচ্ছি। যেটুকু পারি, সেটা দিচ্ছি। বাকিটা বোর্ড এবং খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করে।”