
স্টাফ রিপোর্ট | গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে ঘিরে সংঘটিত সহিংসতার প্রেক্ষাপটে জারি করা কারফিউর সময় আবারও বাড়ানো হয়েছে। আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে—
“চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বহাল থাকবে।”
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই):
সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১১টা পর্যন্ত কারফিউ জারি ছিল।
শুক্রবার (১৮ জুলাই):
দুপুর ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ সাময়িক শিথিল করা হয়।
এরপর:
দুপুর ২টা থেকে “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত” কারফিউ পুনর্বহাল হয়।
নতুন নির্দেশ:
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত আবারও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (১৬ জুলাই) এনসিপির পূর্বঘোষিত পথসভা ও পদযাত্রা কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহর ফেরার পথে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় হামলার শিকার হয়। ঘটনাটি মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এবং পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আহত হন অন্তত ৪০ জন। বেশ কয়েকজন নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা বা আটক বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ ও সরকারপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস ছাড়া দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
সহিংসতার পরপরই ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
পরদিন প্রথমবারের মতো ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়, যা ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে এখন প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ছুঁইছুঁই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,
“দোকানপাট বন্ধ, রাস্তায় সেনা-পুলিশ টহল,—এ যেন এক নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া শহর।”
এনসিপি দাবি করেছে,
“এটি নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ সংগঠন পরিকল্পিত হামলা করেছে।
অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, “জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে আরও সময় বাড়ানো হতে পারে।”
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, “প্রয়োজনে আবারও কারফিউর সময় বাড়ানো হতে পারে। নাগরিকদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।”