
আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক ডেস্ক,
“বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণে দিল্লির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ”
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন। এবার তার অভিযোগ, ভারত সরকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে ‘আত্মগোপনে’ রেখে আশ্রয় দিয়েছে, এবং এটি বাংলাদেশে গণতন্ত্রবিরোধী হস্তক্ষেপের দৃষ্টান্ত।
“ভারত সরকার কিছু অতিথি এনে রেখেছে” কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত এক সমাবেশে মমতা বলেন, “ভারত সরকার কিছু অতিথি এনে রেখেছে। আপনারা জানেন, তারা কারা। বাংলাদেশ থেকে যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, এখন তারাই এখানে আশ্রিত।”
তিনি আরও বলেন,
“ভারতের মাটিকে অন্য দেশের রাজনীতির হাতিয়ার বানানো ঠিক নয়। এটা ভারতের ঐতিহ্যবিরোধী।”
দিল্লির দিকে আঙুল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতে বারবার কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তবে এবার আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি কার্যত দিল্লিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকার জন্য দায়ী করলেন।
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী নিখোঁজ বা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে দাবি করা হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র বলছে, তাঁদের কেউ কেউ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করছেন।
মমতার সাম্প্রতিক মন্তব্য সেই দাবিকে আরও জোরালো করেছে।