
জুলাই৩৬ নিউজ |
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ইংরেজি শিক্ষিকা মাসুকা বেগম (৩৭)-এর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে তার নিজ গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর ঈদগাহ মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
শিক্ষকের মৃত্যু, জাতির ক্ষতি
দুর্ঘটনার সময় মাসুকা বেগম স্কুল ভবনের একটি কক্ষে ক্লাস নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে বিধ্বস্ত হওয়া যুদ্ধবিমানটি ওই ভবনের ওপর আছড়ে পড়লে আগুনে দগ্ধ হন তিনি। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। সহকর্মীরা এবং উদ্ধারকারী দল তাঁকে গুরুতর অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানেই রাত সাড়ে ১২টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাসুকা বেগম (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শেষ ইচ্ছা: ‘আমাকে গ্রামের বাড়িতে কবর দিও’
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুকা বেগম হাসপাতালে আরেক সহকর্মীকে শেষবারের মতো বলেছিলেন,
"আমি যদি না বাঁচি, আমাকে গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে দিও।"
এই শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর মরদেহ পরিবারের সদস্যরা সোহাগপুরে নিয়ে যান। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা-মা, স্বামী, সন্তানসহ হাজারো মানুষ। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
একজন শিক্ষক, যিনি ছিলেন শিক্ষার্থীদের মা-সম
মাসুকা বেগম ছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি মাধ্যম শাখার একজন সিনিয়র শিক্ষক। সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি ছিলেন দায়িত্বশীল, মমতাময়ী ও আদর্শবান। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পুরো শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষার্থীরা শোকাহত।