নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা |

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএনপি এখন দলীয় চাঁদাবাজি, অস্থিরতা সৃষ্টি ও খুনাখুনির রাজনীতির মধ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, যা দেশের ইসলামী মূল্যবোধ ও সামাজিক স্থিতিশীলতার পরিপন্থী।

সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা বলেন—
“ইসলামের নাম ব্যবহার করে কিংবা গণতন্ত্রের নামে কেউ যদি চাঁদাবাজি করে, সহিংসতা চালায়—তবে তা ইসলামসম্মত নয়। বিএনপিকে এ ধরণের রাজনীতি থেকে সরে এসে জনগণের পক্ষে সত্যিকারের ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।”
গত কয়েক মাস ধরে রাজপথে বিএনপির আন্দোলন, সংঘাত, এবং কিছু এলাকায় হঠাৎ করে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় হেফাজতের পক্ষ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। তারা অভিযোগ করে, বিএনপির অনেক কর্মসূচি “রাজনৈতিক চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের ক্ষেত্র” হয়ে উঠেছে।

হেফাজত ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী শিক্ষা, আদর্শ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের পক্ষের একটি সংগঠন হিসেবে পরিচিত।
তাদের দাবি, রাজনৈতিক বিরোধিতা হোক গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, কিন্তু রক্তপাত, চাঁদাবাজি, সহিংসতা কিংবা গুজব ছড়িয়ে সমাজকে উত্তপ্ত করা ইসলাম ও মানবতার পরিপন্থী।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হেফাজতের এ বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, দেশের ইসলামী সংগঠনগুলো আর বিএনপির সহিংস রাজনীতিকে নীরবে প্রশ্রয় দিতে রাজি নয়।
এতে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান আরও চাপে পড়তে পারে, বিশেষ করে ধর্মভিত্তিক জনসমর্থনের দিক থেকে।
জনগণের ভয়ভীতির রাজনীতি বন্ধ করুন, ইসলামের নামে সহিংসতা বন্ধ করুন, শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করুন, চাঁদাবাজি ও দাঙ্গা পরিহার করুন হেফাজতে ইসলামের এই স্পষ্ট বার্তা বিএনপির জন্য একটি বড় রাজনৈতিক সতর্কতা। এটি শুধু একটি দলের সমালোচনা নয়, বরং পুরো দেশের রাজনীতিতে সহিংসতা ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বন্ধের আহ্বান।