হবিগঞ্জ, ১২ জুলাই: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক মিয়া (৪০) নিহত হওয়ার ঘটনায় ৭ সাংবাদিকসহ মোট ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত ফারুক উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। বাদী অভিযোগে বলেন, পরিকল্পিতভাবে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে ফারুক মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার তালিকায় স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ৭ জন সাংবাদিকের নাম থাকায় সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত সাংবাদিকদের দাবি, তারা ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না, বরং কেউ কেউ ঘটনার ভিডিও ও ছবি সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন।
হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব, নবীগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং একাধিক সাংবাদিক সংগঠন মামলাটিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর হস্তক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা অবিলম্বে সাংবাদিকদের নাম প্রত্যাহার এবং দায়ীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন,
“ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে যেভাবে সাংবাদিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক। এতে করে প্রকৃত অপরাধী আড়ালে থেকে যাচ্ছে, আর সংবাদকর্মীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।”
এদিকে নবীগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “নিহতের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ভিডিও এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
নিহত ফারুকের পরিবার দ্রুত বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। অপরদিকে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
জুলাই ৩৬ নিউজ