আন্তর্জাতিক ডেস্ক |
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে বড় ধরনের ধাক্কা এসেছে। জোটের অন্যতম শরিক আল্ট্রা-অর্থোডক্স শাস পার্টি সরকার থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। হরেদি (Ultra-Orthodox) ইহুদিদের সামরিক চাকরিতে বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিতর্কের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।
বুধবার (১৬ জুলাই) শাস পার্টির শীর্ষ নেতারা সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। যদিও তারা এখনও সরকার থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসেনি, তবুও মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়ানোয় নেতানিয়াহুর সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা সংকট তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে শাস পার্টির ১১টি আসন রয়েছে। নেতানিয়াহুর ডানপন্থী জোট সরকার এরইমধ্যে সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে। ফলে শাস পার্টির সরে দাঁড়ানো জোট সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ফেলেছে।
বিতর্কের মূল কেন্দ্র: হরেদিদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ
দীর্ঘদিন ধরে হরেদি ইহুদিরা ধর্মীয় অধ্যয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে সামরিক নিয়োগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে আসছিল। কিন্তু দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি এক রায়ে জানায়, সকল নাগরিকের ক্ষেত্রেই সামরিক সেবা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। এ রায়ের পর জোটে থাকা ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে অসন্তোষ তীব্র হয়।
শাস পার্টি মনে করে, ধর্মীয় শিক্ষার জন্য হরেদিদের সামরিক সেবা থেকে মুক্তি দেয়া উচিত। অপরদিকে নেতানিয়াহু সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে, যা পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শাস পার্টি এখনো জোট ত্যাগ না করলেও, এটি একটি কৌশলগত চাপ প্রয়োগের অংশ। একদিকে তারা সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে ভবিষ্যৎ নির্বাচনের জন্য নিজ নিজ সমর্থকদের বার্তা দিচ্ছে।
এ ঘটনায় ইসরায়েলে নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদি শাস পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ত্যাগ করে, তাহলে নতুন নির্বাচন বা বিকল্প জোট গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
জুলাই ৩৬ নিউজ