রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | ১৭ জুলাই ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে ভাইভা বোর্ডে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আজমল হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আজমল হোসেন বলেন, “আমি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়েই প্রথম হয়েছি। তবুও আমাকে ভাইভায় ডাকা হয়নি, যা চরম অবিচার ও বৈষম্যের পরিচায়ক। আমার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।”
তিনি জানান, তিনি ২০০১–০২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক এবং ২০০৬ সালে স্নাতকোত্তরে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২০১৯ সালে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলকে বাধ্যতামূলক শর্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলে তিনি উচ্চ আদালতে রিট করেন এবং আদালত থেকে অনুকূলে নির্দেশনাও পান।
পরবর্তীতে নতুন প্রশাসন কর্তৃক দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগের আবেদনকারীদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। বিজ্ঞপ্তিতে অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম থেকে সপ্তম মেধাক্রমে থাকা প্রার্থীদের যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করার কথাও বলা হয়। আজমল হোসেনের দাবি, সেই শর্ত তিনি পূরণ করলেও তাকে ভাইভায় ডাকা হয়নি।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কোনো গোপন স্বার্থ বা প্রভাবের কারণে কি আমাকে বাদ দেওয়া হলো? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল নিরপেক্ষ থাকা।” তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি পুনরায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যাখ্যা:
এ বিষয়ে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন,
“আজমল হোসেন পূর্বের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত পূরণ করতে পারেননি। তাই তার আবেদন তখন বাতিল হয়েছিল। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বে যাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য ছিল, শুধু তারাই পুনরায় আবেদন করতে বাধ্য নন। যেহেতু তার আবেদন আগেই বাতিল হয়েছিল, তাই সেটি পুনরায় গৃহীত হয়নি। আর নতুন নিয়োগে তিনি আবেদনই করেননি।”
জুলাই ৩৬ নিউজ