ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জ ‘অপ্রত্যাশিত ঘটনায়’ নিহতদের ময়নাতদন্ত হয়নি—হাসপাতালের ব্যাখ্যা নিয়ে প্রশ্ন

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 20, 2025 ইং
সংগৃহীত, ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত,
ad728

নিজস্ব প্রতিবেদক | গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে গত ১৬ জুলাই সংঘটিত সংঘর্ষে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও অসত্য’ বলে দাবি করেছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে এই দাবি ঘিরে ইতোমধ্যে নতুন করে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

“উত্তেজনা ও অনুকূল পরিবেশের অভাবে ময়নাতদন্ত হয়নি”—হাসপাতাল

আজ (২০ জুলাই) হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন—

“প্রথম মৃতদেহটি হাসপাতালে আনার পর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হলে স্বজনরা রাজি হননি। তারা উত্তেজিত হয়ে জোরপূর্বক মরদেহ নিয়ে যান।”

বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, পরবর্তী সব মরদেহের ক্ষেত্রেও স্বজনরা ময়নাতদন্তে রাজি হননি এবং হাসপাতাল কর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে মরদেহ নিয়ে যান।

কেন ছিল না পুলিশ? কেন হয়নি প্রাথমিক আইনি ব্যবস্থা?

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,
“ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত ছিল না, এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যস্ততার কারণে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে মোবাইল ও লিখিতভাবে পুলিশকে জানানো হয়।”
তবে স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, সংঘর্ষের তীব্রতা ও রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতা মাথায় রেখে প্রথম থেকেই পুলিশের প্রস্তুতি ও উপস্থিতি থাকা উচিত ছিল।

❓ সাংবাদিকদের প্রশ্ন:
গোপালগঞ্জের মতো স্পর্শকাতর অঞ্চলে একাধিক রাজনৈতিক মৃত্যু হলে আইন অনুযায়ী ময়নাতদন্ত অনিবার্য নয় কি?

উত্তেজনা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ডাকা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কেন তৎক্ষণাৎ হয়নি?
মৃত্যুর পরপরই স্বজনদের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি কার আদেশে বা তদারকিতে হয়েছিল?

চিকিৎসা না ময়নাতদন্ত—কোনটি ছিল অগ্রাধিকার?

হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,
“গোপালগঞ্জবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় আমরা সর্বদা আত্মনিয়োজিত। জনমনে বিভ্রান্তি দূর করতে এই বিবৃতি।

তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শুধু বিবৃতি নয়, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ, হাসপাতালের নিরাপত্তা ক্যামেরা ও দায়িত্বরতদের স্বাক্ষ্য অনুসন্ধান করেই প্রকৃত তথ্য স্পষ্ট হতে পারে।


নিউজটি আপডেট করেছেন : জুলাই ৩৬ নিউজ

কমেন্ট বক্স