নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নবঘোষিত জেলা ও উপজেলা কমিটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগপন্থি নেতাকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে এনসিপি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুনর্বাসনের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার (১৩ জুলাই) রাতে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় যারা রাজপথে ছিলেন না, বর্তমানে তারাই এনসিপির জেলা নেতৃত্বে জায়গা করে নিচ্ছেন। আর যারা মাঠে সক্রিয় ছিলেন, তাদের মতামত উপেক্ষা করে ‘একচেটিয়াভাবে’ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য সচিব রায়ান বিন কামাল বলেন, “এই কমিটির মাধ্যমে মূলত আওয়ামী প্রভাবশালী কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এতে জনগণের আস্থা নষ্ট হচ্ছে এনসিপির প্রতি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের খোঁজ পর্যন্ত নেননি। এমনকি আজ ঝালকাঠিতে পদযাত্রা শেষে আহ্বায়কের সঙ্গে মাত্র পাঁচ মিনিট কথা বলার সুযোগও পাননি আন্দোলনের নেতারা।
বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, জেলা কমিটির আহ্বায়ক আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, “আন্দোলনের মূল দাবি বাস্তবায়ন না করে বিতর্কিত ও সুবিধাবাদীদের নেতৃত্বে বসানো হচ্ছে—যা দল ও আন্দোলনের নীতিবিরুদ্ধ।”
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে বিতর্কিত কমিটি বাতিল এবং আন্দোলনকেন্দ্রিক প্রকৃত নেতাকর্মীদের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্য সচিব রাইয়ান বিন কামাল, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাইশা মেহজাবীন ও সহ-মুখপাত্র অনামিকা দত্ত বৃষ্টি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যান্য জেলা নেতারাও।
জুলাই ৩৬ নিউজ