নিজস্ব প্রতিবেদক | জুলাই৩৬ নিউজ
যশোর-বেনাপোল রুট
বেনাপোল কমিউটার ট্রেনে এক শ্রেণির দালাল ও চাঁদাবাজ চক্র প্রকাশ্যেই যাত্রীদের—বিশেষ করে নারী যাত্রীদের—নিকট থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে, এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা কিছুই জানে না।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক যাত্রী জানান, ট্রেনে উঠার সময় তাদের কাছে টাকা দাবি করা হয় এবং টাকা না দিলে ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়া হয়।
“তাদের টাকা না দিলে ট্রেনে উঠতেই দেয় না”
মেহেরুন নামে এক যাত্রী বলেন,
“প্রায়ই বেনাপোলে নামলে কয়েকজন এসে আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। এটাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে। না দিলে ঝামেলা করে।”
আরেক যাত্রী বলেন,
“এক বয়স্ক লোক এসে আমাদের বলল, ‘দাদনের টাকা রয়েছে, তাই তুলছি।’ তারপর টাকা নিয়েই ট্রেন থেকে দ্রুত নেমে যায়।”
স্টেশন মাস্টার বলছেন—“জানি না”
এই বিষয়ে বেনাপোল রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন,
“এ ধরনের কিছু ঘটছে বলে আমার জানা নেই। যাত্রীদের কাছ থেকে কেউ টাকা তুলছে—এটা সত্য হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
তবে স্থানীয় যাত্রী ও রেলসেবার সঙ্গে যুক্তদের মতে, এই অভিযোগ নতুন নয়। বছরের পর বছর ধরেই এই ট্রেনটিতে অঘোষিত টোল আদায় চলে আসছে।
খোদ ট্রেনেই চাঁদা তোলার ঘটনায় রেলওয়ের ভেতরের কেউ বা স্থানীয় কোনো প্রভাবশালী গ্রুপ জড়িত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এটি যদি সাংগঠনিকভাবে পরিচালিত হয়, তবে এটি যাত্রী হয়রানি ও রেলসেবা দুর্নীতির বড় উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
সাধারণ যাত্রীরা বলছেন,
“এই অবস্থা চলতে থাকলে নারীরা তো ট্রেনেই উঠতে ভয় পাবে। রেল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”
জুলাই ৩৬ নিউজ