ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বান্দরবানকে ‘শাস্তির জায়গা’ বলায় বিতর্কে এনসিপি নেতা সারজিস, ছাত্রসমাজের প্রতিবাদে

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 20, 2025 ইং
সংগৃহীত, ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত,
ad728

নিজস্ব প্রতিবেদক | বান্দরবান | জুলাই৩৬ নিউজ

“বান্দরবান হচ্ছে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তির জায়গা”— এনসিপি নেতা সারজিস আলমের এই মন্তব্য নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে বান্দরবান। স্থানীয় ছাত্রনেতারা একে “পার্বত্য জনগণের মর্যাদায় সরাসরি আঘাত” হিসেবে অভিহিত করে প্রতিবাদে নেমেছেন।

 প্রেসক্লাবে ছাত্রসমাজের সংবাদ সম্মেলন

আজ দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাবে ‘ছাত্র সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রনেতারা তীব্র প্রতিবাদ জানান।
ছাত্রনেতা আসিফ ইসলাম বলেন—
“১৯ জুলাই পদযাত্রার দিনে সারজিস আলম জনসমক্ষে ক্ষমা চাইবেন বলে আশ্বাস দিলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি জানানো হলে এনসিপি নেতারা কর্ণপাত না করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।”

 এনসিপির প্রতি ‘অবাঞ্ছিত ঘোষণা’

বক্তব্য প্রত্যাহার না করায় ছাত্রনেতারা জানান—
 বান্দরবানে সারজিস আলম ও এনসিপির সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
 বান্দরবানকে “শাস্তির বদলি” হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
 এখানকার সরকারি কর্মকর্তাদের “অবমাননাকর মন্তব্যে দাগিত হওয়া থেকে বাঁচাতে” দ্রুত প্রত্যাহার চাওয়া হয়।

ছাত্রনেতা আসিফ ইকবাল বলেন—
“বান্দরবানকে অবজ্ঞা মানে আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। কোনো দলের নেতাই জনপদের সম্মানহানি করলে তা মেনে নেয়া হবে না। রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।”

সারজিসের দুঃখপ্রকাশ—তবু উত্তেজনা কমেনি

বিতর্ক ছড়ানোর পর বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে সারজিস আলম দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি লেখেন—

“বান্দরবান নিয়ে কিছুদিন আগে একটি বক্তব্যে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়ন হয়েছে, যার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সংগ্রাম, সৌন্দর্য ও সৌহার্দ্যের রাঙামাটি থেকে আমরা লড়াই করব সকল জাতিগোষ্ঠীর অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে।”

তবে ছাত্রনেতারা একে “কৌশলী পোস্ট” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের দাবি, জনসমক্ষে প্রকাশ্য ক্ষমা ছাড়া বিষয়টি শেষ হবে না।

সারজিস আলমের বক্তব্য বান্দরবানের প্রতি ঢালাও অবজ্ঞা হিসেবে ধরা হলেও, বিষয়টি উঠে এসেছে দীর্ঘদিনের একটি আঞ্চলিক ক্ষোভ থেকে—যেখানে পার্বত্য অঞ্চলে কর্মকর্তাদের “শাস্তিমূলক বদলি” ও “উন্নয়নবঞ্চনা” ঘিরে বিতর্ক রয়েছে।

তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন,
“যেকোনো সমালোচনা করতে হলে ভাষার সংবেদনশীলতা দরকার। সারজিস আলমের বক্তব্য পার্বত্য জনপদের আত্মমর্যাদায় আঘাত হেনেছে।”


নিউজটি আপডেট করেছেন : জুলাই ৩৬ নিউজ

কমেন্ট বক্স