জুলাই৩৬ নিউজ রিপোর্টিং ডেস্ক
রাজধানীর গুলশান এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ জুলাই) রাত আটটার দিকে গুলশান-২ এর ওই বাড়িতে গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন:
মো. রিয়াদ, মো. সিয়াম, মো. সাদাফ, মো. ইব্রাহীম,
মো. আমিনুল।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, আটককৃতরা নিজেদের “সমন্বয়ক” পরিচয়ে চাঁদা দাবি করছিলেন। এদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ নামে একজন আগে থেকেই একটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন,
“শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে অভিযুক্তরা এক কোটি টাকা দাবি করে। তারা আগেই ১০ লাখ টাকা নিয়েছিল। শনিবার তারা বাকি টাকা চাইতে গেলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে।”
এ ব্যাপারে ডিএমপির গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আলী আহমেদ মাসুদ বলেন,
“আটকদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে, কয়েকদিন আগে তারা শাম্মী আহমেদের বাসায় যান। তখন শাম্মীর স্বামী তাদের কিছু অর্থ দেন, এবং বলেন, ‘তোমরা আমার ছেলের মতো, আমার বউকে নিয়ে যেও না।’ সেই সময় পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়।”
রিয়াদের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই পাঁচ লাখ টাকা নেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু। তিনি সেই টাকা দিয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর চিকিৎসা এবং একটি মোটরসাইকেল কেনেন। পরবর্তীতে বাকি অর্থ নিতে গিয়ে আটক হন তারা।
ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে জড়িত পাঁচ নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
“সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বহিষ্কৃতদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।”
এই ঘটনায় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা, অস্বচ্ছ লেনদেন এবং প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির সংস্কৃতির ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুলাই ৩৬ নিউজ